রাইস কুকার মাল্টিকুকার মাত্র ৮৩৫ টাকায় পেয়ে যাচ্ছেন-

রাইস কুকার মাল্টিকুকার: এক যন্ত্রে রান্নার সহজ সমাধান

বর্তমান ব্যস্ত জীবনে রান্নার ঝামেলা কমাতে এবং সময় বাঁচাতে রাইস কুকার মাল্টিকুকার অনেকের ঘরেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আগে যেখানে রাইস কুকার শুধু ভাত রান্নার কাজে ব্যবহৃত হত, এখন আধুনিক মাল্টিকুকার দিয়ে ভাতের পাশাপাশি খিচুড়ি, পোলাও, স্যুপ, সবজি, মাংস, পায়েস কিংবা এমনকি কেকও তৈরি করা যায়। এটি এক অর্থে “এক যন্ত্রে বহু ব্যবহার”। নিচে মাল্টিকুকারের দাম, সুবিধা এবং ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

দাম

রাইস কুকার মাল্টিকুকারের দাম ব্র্যান্ড, ক্ষমতা (লিটার), এবং ফিচারের ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে।

• সাধারণ ব্র্যান্ডের বেসিক রাইস কুকার পাওয়া যায় ১৫০০ – ৩,৫০০ টাকার মধ্যে।

• উন্নত ফিচারযুক্ত মাল্টিকুকার (যেখানে কেক, স্যুপ বা ভাজা খাবারও তৈরি করা যায়) সাধারণত ৪,০০০ – ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

• প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড যেমন Panasonic, Philips, বা Sharp এর মাল্টিকুকারগুলোর দাম ১০,০০০ টাকার ওপরে হতে পারে।

• কিন্তু আমাদের কাছে এই মডেল টি অর্ডার করলে ১৫০০ টাকার প্রোডাক্ট মাত্র ৮৩৫ টাকায় পেয়ে যাচ্ছেন। তাই আর দেরি কেন এখনই অর্ডার করে ফেলুন আমাদের এইখানে।

অর্থাৎ, বাজেট অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন দামের মাল্টিকুকার বাজারে সহজেই পাওয়া যায়।

সুবিধা

১. বহুমুখী ব্যবহার: শুধু ভাত নয়, খিচুড়ি, পোলাও, বিরিয়ানি, সবজি, মাছ-মাংস, স্যুপ এমনকি ডেজার্টও রান্না করা যায়।
২. সময় ও পরিশ্রম বাঁচায়: গ্যাস চুলার পাশে দাঁড়িয়ে না থেকেও সহজে রান্না হয়। শুধু উপকরণ দিয়ে সেটিং ঠিক করলেই হবে।
৩. বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী: অনেক আধুনিক মাল্টিকুকার অল্প বিদ্যুৎ খরচে রান্না সম্পন্ন করে।
৪. অটো ওয়র্ম ফাংশন: রান্না শেষ হওয়ার পরও খাবার কয়েক ঘণ্টা গরম থাকে।
৫. সেফটি ফিচার: অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও অটোমেটিক বন্ধ হওয়ার সুবিধা থাকায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি কম।
৬. সহজ পরিষ্কার: নন-স্টিক ইনার পট থাকায় খাবার লেগে যায় না এবং সহজে ধোয়া যায়।

ব্যবহার

রাইস কুকার মাল্টিকুকার ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ। সাধারণত নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে হয় –
১. কুকারের ভেতরের ইনার পটে উপকরণ দিয়ে নিন।
২. রেসিপি অনুযায়ী পরিমাণমতো পানি বা তরল যোগ করুন।
৩. প্রয়োজন হলে সঠিক মোড (Rice, Soup, Porridge, Cake ইত্যাদি) বেছে নিন।
৪. স্টার্ট বাটন চাপুন, রান্না স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে।
৫. রান্না হয়ে গেলে মেশিনটি অটোমেটিক “Keep Warm” মোডে চলে যাবে।

কেন ব্যবহার করবেন?

যারা ব্যস্ত জীবনযাপন করেন, একা থাকেন বা ছোট পরিবারে থাকেন, তাদের জন্য রাইস কুকার মাল্টিকুকার একটি দারুণ সমাধান। রান্নার সময় কমে যায়, গ্যাস খরচ কমে এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন পদ সহজে তৈরি করা যায়। এছাড়া যারা স্বাস্থ্য সচেতন, তারা তেল কম ব্যবহার করে ভাপানো বা সেদ্ধ খাবার রান্না করতে পারেন খুব সহজে।

উপসংহার

একটি মাল্টিকুকার শুধু রান্নার ঝামেলা কমায় না, বরং দৈনন্দিন জীবনে রান্নাকে করে তোলে অনেক বেশি সহজ ও আনন্দদায়ক। বাজেট অনুযায়ী পছন্দমতো একটি কুকার কিনে নিলে আপনি ঘরে বসেই রেস্তোরাঁর মতো খাবার তৈরি করতে পারবেন।

---

👉 চাইলে আমি এই পোস্টের জন্য বাংলাদেশি বাজারে জনপ্রিয় কিছু রাইস কুকার মাল্টিকুকারের মডেল ও দাম খুঁজে দিয়ে যুক্ত করে দিতে পারি। সেটা কি আপনার জন্য সহায়ক হবে?